মেলোনি সরকারের অভিবাসন নীতিতে ধাক্কা আলবেনিয়ায় আশ্রয় প্রার্থীদের প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রও অচল, আদালত বলেছে “নির্দিষ্ট মানদণ্ড ছাড়া তালিকা তৈরি আইনবহির্ভূত।
মামলার পটভূমি:
২০২৩ সালের অক্টোবরে ইতালীয় নৌবাহিনী ১০ বাংলাদেশি ও ৬ মিশরীয় অভিবাসী উদ্ধার করে আলবেনিয়ার শেনজিন বন্দরে পাঠায়।
ইতালি সরকার বাংলাদেশকে “নিরাপদ দেশ” তালিকাভুক্ত করে তাদের আশ্রয় আবেদন দ্রুত খারিজ করে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করেছিল।
দুই বাংলাদেশি অভিবাসীর পক্ষে আইনজীবী দারিও বেলুচ্চি-র আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি সিজেইউতে যায়।
আদালতের মূল রায়ঃ
নিরাপদ দেশ” তালিকা অবৈধ:
কোনো দেশকে নিরাপদ ঘোষণা করতে হলে সকল ধর্ম, জাতিগোষ্ঠী ও রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত হতে হবে।
ইতালি বাংলাদেশের জন্য যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে।
আলবেনিয়ার প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র অকার্যকর:
এই কেন্দ্রগুলোতে ইউরোপীয় মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের ঝুঁকি রয়েছে নির্মাণ খরচ ইতালির অভ্যন্তরে কেন্দ্রের চেয়ে ৭ গুণ বেশি।
জাতীয় সরকারের সিদ্ধান্তের সীমাবদ্ধতা:
ইতালি চাইলেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইন উপেক্ষা করে নিজস্ব তালিকা তৈরি করতে পারবে না।
প্রতিক্রিয়া:
ইতালি সরকার:
রায়কে “অবাক করার মতো” ও “অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতাকে দুর্বল করা” বলে সমালোচনা করেছে।
দাবি করেছে, এটি গোটা ইউরোপের জন্য উদ্বেগজনক।
আইনজীবী দারিও বেলুচ্চি:
এই রায়ের পর ইতালির পরিকল্পনা কার্যত শেষ। আদালত তাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করেছে।”
প্রভাব:
ইতালির মেলোনি সরকারের কঠোর অভিবাসন নীতি ধাক্কা খেল।
আলবেনিয়ায় আশ্রয় প্রার্থীদের প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র (যেখানে বাংলাদেশিদের পাঠানো হচ্ছিল) এখন অকার্যকর।
ইউরোপজুড়ে ডানপন্থি দলগুলোর অভিবাসন-বিরোধী মডেল প্রশ্নের মুখে।
পরিসংখ্যান:
২০২৫ সালের প্রথম ৬ মাসে ইইউতে বাংলাদেশি অভিবাসী ২০% কমেছে (ইউরোস্ট্যাট)।
লিবিয়ায় আটকে আছে ২০,০০০+ বাংলাদেশি (IOM)।