বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন
Title :
কাটাবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জলাবদ্ধতা নিরসনে ইউসুফ মোল্লা টিপুর মানবিক উদ্যোগ “বি.আই.আর.সি” প্রধান উপদেষ্টা হলেন – এডভোকেট শেখ শওকত হোসেন ফরহাদ অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ ৩ দফা দাবিতে ববি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন ফ্যাসিবাদ ঠেকাতে জনগণকে রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী করতে হবে”—তারেক রহমান ভোলাহাটে ভার্ক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবৃত্তির চেক প্রদান অনুষ্ঠিত! অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে তিতাস গ্যাসের সাঁড়াশি অভিযান, জরিমানা আদায় রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নে নিবন্ধন বিলম্ব ও ক্ষমতার অপব্যবহারের যতসব কীর্তন! “তনুর বয়স হতো আজ ২৯: নয় বছরেও বিচারহীন সোহাগী জাহান তনুর হত্যা মামলা” উঁচু মঞ্চের আড়ালে জনগণের নীরব কান্না ভূরুঙ্গামারী উপজেলা বিএনপির কমিটিতে ত্যাগীদের পরিবর্তে স্থান পেয়েছে আওয়ামী লীগের দোসররা!

মর্টসেফ – মৃতদেহ চুরি ঠেকাতে ভয়াবহ এক লোহার খাঁচা!

শাহরিয়া সাংবাদিক ও কলামিস্ট
  • Update Time : শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫
  • ৫১ Time View

 

মো:শাহরিয়া

  1. ১৮শ ও ১৯শ শতাব্দীর শুরুতে ব্রিটেনে ঘটছিল এক ভয়াবহ ঘটনা —মৃতদেহ চুরি!
    চিকিৎসা শিক্ষার প্রয়োজনে মৃতদেহের চাহিদা ছিল তুঙ্গে , অথচ আইনি সীমাবদ্ধতায় তা জোগাড় করাই ছিল কঠিন।
    এরই ফাঁদে গড়ে ওঠে এক কুখ্যাত রাতচরা পেশা—
    Resurrectionists বা লাশচোর ।

রাতের অন্ধকারে তারা কবর খুঁড়ে সদ্য মৃত দেহ চুরি করে নিয়ে যেতো মেডিকেল কলেজে বিক্রি করার জন্য। পরিবার ও সমাজ রীতিমতো আতঙ্কে !

এই ভয়াল অবস্থা থেকে বাঁচতেই তৈরি হয় এক অভিনব কৌশল—
মর্টসেফ (Mortsafe) — এক ধরনের ভারি লোহার খাঁচা বা শক্ত কাঠামো , যা সদ্য সমাধিস্থ মৃতদেহের উপর বসানো হতো। যেন কবর খুঁড়লেও লাশে হাত দিতে না পারে চোরেরা!

কীভাবে কাজ করত মর্টসেফ?
সাধারণত ৬ সপ্তাহ থেকে ২ মাস পর্যন্ত কবরের উপর বসিয়ে রাখা হতো এই কাঠামো।
যতদিন না মৃতদেহ পচে চিকিৎসা শিক্ষায় অপ্রয়োজনীয় হয়ে যেত, ততদিন রাখা হতো এই নিরাপত্তা।
এরপর মর্টসেফ খুলে এনে অন্য নতুন কবরের উপর বসানো হতো।

মর্টসেফের নকশা ছিল বৈচিত্র্যময়
কখনো মাটির গভীরে বসানো লোহার দণ্ড ও পাথরের জালি
কখনো ধাতব ফ্রেমে কাঠের সেফটি কভার
কখনো কেবল লোহার ঘন খাঁচা
এতটাই শক্তভাবে বসানো হতো যে তুলে নেওয়া প্রায় অসম্ভব!

১৮৩২ সালের Anatomy Act পাস হওয়ার পর এই লাশচোর পেশা প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যায়। আইনের মাধ্যমে মেডিকেল শিক্ষায় মৃতদেহ সরবরাহ সহজ হয়, আর মর্টসেফ হয়ে পড়ে ইতিহাসের এক রহস্যময় নিদর্শন ।

আজও কিছু পুরোনো কবরখানায় দেখা মেলে মর্টসেফের চিহ্ন—এক সময়ের আতঙ্ক আর আত্মরক্ষার প্রতীক হিসেবে।
এই ইতিহাস মনে করিয়ে দেয়—
যে সমাজে বৈজ্ঞানিক উন্নতির জন্য লড়াই চলে, সেখানে নৈতিকতা, ভয় আর প্রতিরোধ—তিনটি হাত ধরাধরি করে হাঁটে…

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102