- :শাহরিয়া
সম্প্রতি লিবিয়ার দ্বিতীয় রাজধানীতে বেনগাজি তে একটি গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মানব পাচারকারী চক্রের একটি বিশেষ অভিযান চালানো হয় বেনগাজির উপকণ্ঠে নাওয়াকিয়া এলাকায় একটি খামারে অভিযান চালায়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত এই অভিযানে বাংলাদেশী নাগরিকত্বের সন্দেহভাজনদের লক্ষ্য করা হয়, যাদের অবৈধ কার্যকলাপে জড়িত থাকার সন্দেহ ছিল
অভিযানের সময়, একটি নারী দল থেকে দুটি পিস্তল, মুখের মাস্ক, ২২,০০০ দিনার এবং বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়, যা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ব্ল্যাকমেইলের জন্য ব্যবহৃত হত। এই অভিযানে অমানবিক পরিস্থিতিতে আটক চারজন নাগরিককে উদ্ধার করা হয়।
তদন্তের সূত্র ধরে বুহাদি এলাকায় দ্বিতীয় একটি স্থানে অভিযান চালানো হয়, যেখানে একই জাতীয়তার আরও দশজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়, যারা প্রাথমিক অপরাধী চক্রের সাথে সরাসরি জড়িত ছিল।
পরবর্তী পদক্ষেপ ও সমন্বয়
মামলাটি অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সেবা প্রধান এবং পাবলিক প্রসিকিউটরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। জেনারেল ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের সাথে সমন্বয় করে জড়িত সকল দলকে ট্র্যাক করা হচ্ছে।
নিরাপত্তা মিডিয়া অফিসের স্পষ্টীকরণ
নিরাপত্তা মিডিয়া অফিস জানিয়েছে যে, তদন্তের স্বার্থে অপারেশনের বিবরণ প্রাথমিকভাবে গোপন রাখা হয়েছিল, যাতে মামলার সাথে জড়িত অবশিষ্ট অপরাধীরা পালাতে না পারে। কিছু নাগরিক যারা এই অপরাধী গোষ্ঠীর কার্যকলাপে সহযোগিতা করেছিল, তাদেরও পরবর্তীতে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা গ্রেপ্তার করেছে।
অবৈধ অভিবাসন বিরোধী পরিষেবা এবং অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয় জাতীয় নিরাপত্তা ও মানব পাচার রোধে তাদের পূর্ণ অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার সাথে তাদের কাজ অব্যাহত থাকবে।
এই অভিযান লিবিয়ায় সংঘবদ্ধ অপরাধ এবং মানব পাচারের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানেরই প্রতিফলন।