যুক্তরাজ্য সরকার ভুয়া পাসপোর্ট বিক্রি ও অনলাইনে মানবপাচারের বিজ্ঞাপন বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। নতুন একটি প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে— সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব অপরাধমূলক কনটেন্ট তৈরি বা প্রচার করলে ৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং বড় অঙ্কের অর্থদণ্ড দেওয়া হবে।
বর্ডার সিকিউরিটি বিল’-এর আওতায় আসছে নতুন এই আইন
ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার জানান, নতুন আইনটি যুক্তরাজ্যের সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে পার্লামেন্টে উত্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে পুলিশ ও প্রসিকিউশন কর্তৃপক্ষ পাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে আরও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারবে।
এই পাচারকারীরা কেবল আইন ভাঙছে না, তারা আমাদের বৈশ্বিক নিরাপত্তার হুমকিও সৃষ্টি করছে। তাদেরকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মতোই দমন করতে হবে।
২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত ২৫ হাজারের বেশি অভিবাসী যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছে
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে প্রবেশের প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে। চলতি বছরে এই সংখ্যা ৫০% বেড়েছে বলে জানিয়েছে সরকার। ফ্রান্স থেকে রাবার বোটে করে মানুষের পারাপার ও তা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের ফলে জনমনে উদ্বেগ তীব্র হয়েছে।
বিরোধী দলগুলোর মতে, এই সংকটের গোড়াপত্তন হয়েছে পূর্ববর্তী কনজারভেটিভ সরকারের ব্যর্থ নীতির কারণেই। তারা দাবি করছে, বর্তমান লেবার সরকারের উদ্যোগে বাস্তব সমাধান নেই।
অন্যদিকে কনজারভেটিভ পার্টি বলছে, তাদের ‘রুয়ান্ডা পরিকল্পনা’ বাতিল করায় পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।
বর্তমানে বহু অভিবাসী হোটেলসহ অস্থায়ী আবাসনে অবস্থান করছেন, যেখানে তাদের কাজ করার অনুমতি নেই। এতে স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। চরম ডানপন্থীদের উসকানিতে এই হোটেলগুলোতে বিক্ষোভ এবং সহিংসতা বাড়ছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের নতুন এই উদ্যোগ একদিকে যেমন অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে, তেমনি মানবাধিকার, তথ্যপ্রবাহ এবং অনলাইন ব্যবহারের ওপর নতুন বিতর্কও তৈরি করতে পারে।
জন্মহারে নয়, অভিবাসনেই বাড়ছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের জনসংখ্যা
যুক্তরাজ্যের ৪০% মানুষ মনে করেন, মুসলিম অভিবাসীরা নেতিবাচক প্রভাব ফেলছেন।