চুয়াডাঙ্গা অফিস:
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালিয়ে দুই কেজি ৪৪৯ গ্রাম ওজনের ২১টি স্বর্ণের বারসহ আবদিন মিয়া নামের একজনকে আটক করেছে বিজিবি। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আটক করা হয়। আটক আবদীন মিয়া জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের আনার আলীর ছেলে।
চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের (৬ বিজিবি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের (৬ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল নাজমুল হাসান জানতে পারেন চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে স্বর্ণ পাচার হবে।
প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে অধিনায়কের নির্দেশনায় ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক হায়দার আলীর নেতৃত্বে বিজিবির একটি চৌকশ সশস্ত্র আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ৭৫/৩-এস হতে আনুমানিক ৮০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দর্শনা থানার ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের রাস্তার পাশে ওত পেতে থাকে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা ২০ মিনিটের দিকে সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকে মোটরসাইকেলযোগে সীমান্তের দিকে যেতে দেখে বিজিবির আভিযানিক দলটি তাদের থামার জন্য সংকেত দেয়।
এসময় মোটরসাইকেল ফেলে একজন পালিয়ে গেলেও অপরজন পাশের একটি ছোট পুকুরে লাফ দেয়। তবে টহল দল পুকুরে নেমে তাকে আটক করে। আটক ব্যক্তি তার হেফাজত থাকা ১টি প্যাকেট সদৃশ বস্তু পুকুরে ছুড়ে ফেলে দিলেও বিজিবি তার দেহ তল্লাশি করে অভিনব কায়দায় স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো ১টি প্যাকেট উদ্ধার করে। পরবর্তীতে পুকুরে ফেলে দেওয়া প্যাকেটিটও উদ্ধার করে বিজিবি। প্যাকেট দুটি খুলে জব্দ করা হয় ২১টি স্বর্ণের বার। জব্দকৃত স্বর্ণের ওজন দুই কেজি ৪৪৯ গ্রাম। এছাড়া জব্দ করা হয় আটক ব্যক্তির ২টি মোবাইল ফোন ও নগদ ২০২ টাকা।
জব্দকৃত স্বর্ণ ও মোবাইল ফোনের আনুমানিক মূল্য তিন কোটি ৬০ লাখ ৪০ হাজার ৮৯০ টাকা। এ ঘটনায় নায়েক জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা দায়েরপূর্বক আটক আসামিকে দর্শনা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। জব্দকৃত স্বর্ণের বারসমূহ চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।