কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের উত্তর তেতাভূমি গ্রামে যৌতুকের দাবিতে দুই সন্তানের জননী হালিমা আক্তারকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। রবিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালে বিয়ের পর দুই কন্যার জন্ম হলেও প্রবাসে থাকা স্বামী জালাল হোসেন মোবাইল ফোনে পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের নির্দেশ দিতেন। ঘটনার দিন আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে তাকে গুরুতর জখম করে এবং মৃত ভেবে বাড়ির পাশের রাস্তায় ফেলে যায়।
স্থানীয়রা খবর দিলে ছোট ভাই দেলোয়ার হোসেন আহত হালিমাকে উদ্ধার করে প্রথমে ব্রাহ্মণপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। পরে অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি মহিলা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় হালিমা আক্তার বাদী হয়ে স্বামী জালাল হোসেন, রোজিনা আক্তার, হাজেরা বেগম ও শিরিনা আক্তারকে আসামি করে কুমিল্লা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। আদালত ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসিকে মামলা রুজুর নির্দেশ দিয়েছেন।
আহত হালিমার ভাই দেলোয়ার হোসেন বলেন, “আমার বোনকে যৌতুকের জন্য হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। বর্তমানে সে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন।”