দৈনিক ক্রাইম দৃষ্টি নিউজ ডেস্ক
ইতালির লাম্পেদুসা দ্বীপের উপকূলে আবারও ঘটল ভয়াবহ নৌকাডুবি। প্রায় ১০০ জন যাত্রী বহনকারী একটি অভিবাসীবাহী নৌকা ডুবে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে, নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে। বুধবার (১৩ আগস্ট) ভোরে ভূমধ্যসাগরের বিপজ্জনক সেন্ট্রাল রুটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে বাংলাদেশিসহ আফ্রিকার কয়েকটি দেশের নাগরিক রয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (UNHCR) জানিয়েছে, যাত্রীরা মূলত লিবিয়া থেকে ইতালির উদ্দেশে সমুদ্রপথে রওনা দেন। তারা দু’টি নৌকায় ভাগ হয়ে যাত্রা শুরু করলেও মাঝপথে একটি নৌকায় পানি ঢুকে ডুবে যায়। পরে যাত্রীদের অপর নৌকায় স্থানান্তর করা হলে সেটি অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে প্রবল ঢেউয়ে উল্টে যায়। অল্প সময়ের মধ্যে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
ইতালীয় কোস্টগার্ড ও মানবিক সংস্থাগুলোর উদ্ধার তৎপরতায় এখন পর্যন্ত ৬০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৬ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী। নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, নিখোঁজদের মধ্যে অনেকের আর জীবিত থাকার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।
UNHCR-এর মুখপাত্র ফিলিপ্পো উঙ্গারো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, “আরও একটি নৌকাডুবির ঘটনা আমাদের গভীরভাবে মর্মাহত করেছে। সমুদ্রপথে মানবপাচার ও ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা বন্ধ করতে অবিলম্বে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরই শুধু মধ্য ভূমধ্যসাগরীয় রুটে ইতালির উদ্দেশে যাত্রাকালে অন্তত ৬৭৫ জন অভিবাসী প্রাণ হারিয়েছেন। এই রুটকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী অভিবাসন পথগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ২০১৩ সালে একই এলাকায় নৌকাডুবিতে অন্তত ৩৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল, যা লাম্পেদুসা উপকূলকে আন্তর্জাতিক পরিসরে অভিবাসী সংকটের প্রতীক হিসেবে পরিচিত করেছে।