নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার নিজামুল হকের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা অপপ্রচার ও হুমকির প্রতিবাদে বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বুধবার(১৩ আগষ্ট) দুপুরে নিজ বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিজামুল হক মেম্বার জানান, আমার ভাতিজা দেলোয়ার হোসেন রিপন, কামাল হোসেন ও আমার ছেলে হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী আক্তার হোসেনসহ তাদের বন্ধুরা এবং কিছু কু-চক্রিমহল আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে আমার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা অপপ্রচার ও মানহানি করছে। যে সমস্ত আইডি থেকে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তারা আমার ভাতিজাদের বন্ধু ও তাদের সহযোগিরা। যাদের সাথে আমার ব্যক্তিগত কোন শত্রুতা নেই।
তিনি আরো জানান, এলাকায় ৫৪৯ শতাংশ জায়গা জমির সংক্রান্ত একটি মামলা শালিস আমার কাছে আসে। আমি প্রথমে বাদী-ববাদীকে নিয়ে নিঃস্পত্তির চেষ্টা করি। এ নিয়ে একাধিক শালিস হলেও সমাধান হয়নি। সর্বশেষ আদালত থেকে এ মামলার রায় বাদী পক্ষ ইমাম উদ্দিদের পক্ষে আসে। আমি শুধু এ মামলার বাদী পক্ষের পরিচালক ছিলাম মামলা নং ৫২৫/২০১২। এই মামলা চলাকালিন বিবাদি পক্ষ আমাকে এ মামলা থেকে সরানোর জন্য অনেক অত্যচার জুলুম নির্যাতন করে। আমার উপর হামলা চালিয়ে আমার চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা করে। আমার ৬ বছরের ছেলে মোঃ ইয়াছিন আরাফাতকে হত্যা করে। সে মামলার অন্য সব আসামিরা খালাস পেলেও আক্তার হোসেন মূল আসামির যাবৎ জীবন সাজা হয়। এই রায়ে আমি সন্তুষ্ট না হয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করি যা এখনো বিচারাধীন রয়েছে এবং সাজাপ্রাপ্ত আসামি জামিনে রয়েছে। মামলা নম্বর জিআর ১৪২৭/২০১। যার রায় হয় ১৬-০১-২০১৪ইং সনে। এর পর থেকে তারা আমাকে আরও অনেক ভাবে মামলা দিয়ে হয়রানি করে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো চাঁদাবাজির মামলা। যার মামলা নং জিআর ৩৬৫/২০১৪ইং। এই মামলায় আমি এবং আমার ছেলেরা বেকসুর খালাস পাই।
তিনি আরো জানান, আমি বেগমগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত নোয়াখালীর দেওয়ানী নং-২০৬/২০২৩ মামলার পরিচালনা করায় উক্ত মামলার বিবাদীপক্ষ আমার উপর ক্ষুব্ধ। আমার ভাই রুহুল আমিন প্রতিবেশী অনিক ভৌমিক ও অজয় ভৌমিকের কাছ থেকে আমার মধ্যস্থতায় ৩১/১১/২০২৪ ইং তারিখ সাফ কবলামূলে ১৭.০৩ শতক ভূমি ক্রয় করে পরবর্তীতে উক্ত ভূমি দখল নিয়ে প্রতিপক্ষের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরাও আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এছাড়াও সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, নোয়াখালীর ২০৬/২০২৩ইং নং মামলার বাদি হারুনুর রশিদদের পক্ষে কাজ করায় বিবাদীরা আমার উপর ক্ষুব্দ হয়।
নিজাম মেম্বার আরো উল্লেখ করেন, এ সব ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার ভাতিজা দেলোয়ার হোসেন রিপন, কামাল হোসেন ও আমার ছেলে হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী আক্তার হোসেনসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন অপপ্রচার এবং আমাকে নানা ভাবে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে।
এমতবস্তায় তিনি প্রশাসন ও দেশবাসীর কাছে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারীদের বিচার, আমার ছেলে হত্যার বিচার এবং জীবনের নিরাপত্তা দাবি করছেন।
তবে অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন রিপন, কামাল হোসেন ও আক্তার হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের চাচার সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ আছে সত্য। তিনি বিগত দিনে বিভিন্ন সময় আমাদেরকে হয়রানি করেছেন। আমরাও চাই সব কিছুর সুষ্ঠ তদন্ত হোক।