কমিশনের টাকা নিয়ে কৃষকদের সঙ্গে হাতাহাতি, তিনি দলের কেউ নয় দাবি জামায়াতের।
নিজে ব্যবসায়ী। নেই চাষাবাদ। তবে বাজার থেকে সম্প্রতি মানহীন ধান কিনে সাংবাদিকতা ও রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রভাবে জীবননগর উপজেলা খাদ্য গুদামে ধান দিয়েছেন নূর আলম। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হলে প্রভাবের কারণে ঠেকাতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে সুযোগ পেয়ে এরপর সীমান্ত ইউনিয়নের ২০-২৫ জন কৃষককে কমিশনের লোভ দেখিয়ে তাদের কার্ড সংগ্রহ করেন নূর আলম। পরে বাজার থেকে ধান কিনে গুদামে দেন নূর আলম। তবে বিপত্তি বাধে কৃষকদের কমিশনের টাকা নিয়ে। অনেকদিন ঘুরিয়ে কমিশনের টাকা না দেওয়ায় সম্প্রতি কৃষকদের সঙ্গে হাতাহাতি হয় নূর আলমের। পরে কৃষকদের কাছ থেকে টাকা দেওয়ার জন্য এক সপ্তাহ সময় নিয়েছেন তিনি। এ ঘটনায় জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্বশীলদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই কৃষকেরা৷
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, জামায়াত ইসলামী একটি ইসলামি দল। নূর আলমের বিরুদ্ধে সম্প্রতি ট্রেডলাইসেন্স জালিয়াতির খবর প্রকাশ হয়। তারপরও দল থেকে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখলাম না। এবার তার বিরুদ্ধে কৃষকদের কার্ডে গুদামে ধান দিয়ে টাকা নিয়ে ঝামেলার কথা শুনছি। তারপর তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বিষয়টি দুঃখজনক।
এ বিষয়ে জীবননগর পৌর জামায়াতের দায়িত্বশীল কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়৷ এরমধ্যে দু-একজন জানান নূর আলমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একজন জানান তাকে স্যাক করা হয়েছে৷ আরেকজন জানান বহিষ্কার করা হয়েছে। আরেকজন জানান, প্রাথমিকভাবে নূর আলমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে কর্মপরিষদের সিদ্ধান্ত মিডিয়ায় জানানো হয় না।
এদিকে নূর আলমের বিষয়টি নিয়ে ক্ষুদ্ধ সাংবাদিক সমাজ।
উপদেষ্টা : মো: শরিফ হোসেন
সম্পাদক ও প্রকাশক : মো: শাহরিয়া
প্রধান কার্যালয় : কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা, ২নং দুর্গাপুর, দিগীরপাড়, কুমিল্লা
Design and Develop By Coder Boss