অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ ৩ দফা দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়(ববি)র সাধারণ শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে ঢাকা-পটুয়াখালী মহাসড়কে এক বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি তাদের দাবি মেনে না নেয়, তাহলে আরও বড় আন্দোলনের কর্মসূচি দিবে তারা।
প্রতিষ্ঠার এক যুগ পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন, পরিবহন এবং শ্রেণীকক্ষ সংকটের মতো মৌলিক সমস্যাগুলো সমাধানে প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তারা।
শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবি:
১. দ্রুততম সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে।
২. ক্যাম্পাসের আয়তন বৃদ্ধি করতে হবে।
৩. সকল শিক্ষার্থীর জন্য শতভাগ পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত** করতে হবে।
বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রিপন বলেন, “প্রতিষ্ঠার ১২ বছর পরও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি। অধিকাংশ বিভাগে একটি মাত্র শ্রেণীকক্ষ থাকায় তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, আবাসন ও পরিবহন সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অথচ এ সমস্যা সমাধানে সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা আমাদের অধিকার আদায়ে তিন দফা আন্দোলন শুরু করেছি। সরকার যদি দ্রুত এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা না নেয়, তবে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করাসহ পুরো দক্ষিণবঙ্গ অচল করে দিতে বাধ্য হব।”
আরেক শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ বলেন, “একজন শিক্ষার্থীর যে মৌলিক অধিকারটুকু থাকা দরকার, আমরা তা থেকেও বঞ্চিত। আমরা দ্রুত এই সংকটগুলোর সমাধান চাই।
লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ জিসান বলেন, “দক্ষিণবঙ্গের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ ও জুলাই বিপ্লবের সর্বপ্রথম স্বাধীন ক্যাম্পাস বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারাটা যতটা না গৌরবের তার চেয়ে বেশি হতাশার।২০১১ সালে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে পেরিয়ে গেছে ১৪ টি বসন্ত।অথচ এই সুবিশাল সময়ে আমরা পাইনি কিছুই।অথচ সমসাময়িক সময়ে ও এর পরে প্রতিষ্ঠিত আরো অনেক বিশ্ববিদ্যালয় জমি অধিগ্রহণ, অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষা, গবেষণা সকল খাতে আমাদের চেয়ে এগিয়ে গেছে। বারবার শুধু আমাদের উপরই বৈষম্য করা হয়। একজন নবাগত শিক্ষার্থী এক বুক আশা নিয়ে এখানে ভর্তি হয়ে যখন দেখে নেই যথেষ্ট ক্লাসরুম,নেই ল্যাব,নেই স্বাস্থ্যকর আবাসন ব্যবস্থা, নেই উন্নত পরিবহন পুলের ব্যবস্থা।আর গবেষণা তো বিলাসিতা মাত্র।সকাল-সন্ধ্যা মুড়ির টিনের বাসে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়, তখন সেই নবীন শিক্ষার্থী চরম হতাশায় ভোগে।
তিনি আরও বলেন,প্রতিবছর বাজেটে যেখানে ঢাবি,রাবি,চবি সহ দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিপুল পরিমাণ বাজেট হয়, সেখানে ববিতে নামমাত্র বাজেট হয়। বারবার আমরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। আমাদের এই অবকাঠামো আন্দোলন এই চরম বৈষম্যের বিরুদ্ধে। আমরা হাল ছাড়বো না ইনশাআল্লাহ। দাবি কিভাবে আদায় করে নিতে হয় ববিয়ান রা সেটা খুব ভালো করেই জানে। চব্বিশে ক্যাম্পাস স্বাধীন করেছি, স্বৈরাচারের দোসর ফ্যাসিস্ট ভিসিকে তাড়িয়েছি।এটাও আদায় করে নিবো।ইনশাআল্লাহ বিজয় আমাদের হবেই”