রাতের অন্ধকারে যেন এক অদৃশ্য নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে। স্থান- রংপুরের নিউ ক্রস রোডের গুপ্তপাড়ার ছোট্ট অফিসঘর। দেয়ালের চারপাশ কাপড়ের পর্দায় ঢাকা, যেন বাইরের চোখকে আটকে রাখার চেষ্টা। প্লাস্টিকের চেয়ারে ধুলোর আস্তরণ, মাঝখানে কাঠের টেবিল তার উপরে সিগারেটের ছাইচাপা দাগ, পাশে অগোছালো কাগজপত্র। দৃশ্যটি যেন কোন এক ক্লাবের প্রতিচ্ছবি যেখানে প্রতিদিন সাংবাদিকতার আড়ালে, অপ-সংবাদিকতা আর ক্ষমতার নতুন গল্প লেখা হচ্ছে।
অভিযোগের আঙুল উঠছে সভাপতি মীর আনোয়ার আলী (মিঠু) ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জয়ের দিকে। তারা এখন বহন করছেন “বিতর্কিত” ট্যাগ যেন পুরোনো সিনেমার চরিত্র, যারা আলোয় নয়, অন্ধকারের ভেতরে থেকে নাটকের সুতো টেনে যাচ্ছেন। আহ্বায়ক কমিটির হাত ধরে যাত্রা শুরু হয়েছিল সংগঠনটির। উদ্দেশ্য ছিল একটি ঐক্যবদ্ধ সাংবাদিক প্ল্যাটফর্ম। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের আগেই শুরু হয় বিভাজন। নির্বাচনের প্রতিযোগিতা যেন একেবারে হাইজ্যাক হলো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভোটের আয়োজন। একাধিক সদস্য বলেন চাপা কণ্ঠে আমরা ভেবেছিলাম এ কমিটি আমাদের স্বপ্ন পূরণ করবে। কিন্তু যা হচ্ছে, তা একচেটিয়া যেন ক্ষমতা দখলের খেলা এ যেন আরেক রাজনৈতিক খেলের মতন আরেক খেলা। তাদের অভিযোগ, গণতন্ত্রের খোলসে জমিদারি চালাচ্ছে বর্তমান নেতৃত্ব। সদস্য রেজিস্টার, হিসাব বই, সভার কার্যবিবরণী যা সংগঠনের প্রাণ হওয়া উচিত, তা নাকি শুধুই কাগজের কল্পনা।
ভিন্নমত প্রকাশ করলেই যেন সদস্য পদ থেকে নিমিশেই বহিষ্কার করে দেওয়া হয়, কোন কোন কারণ দর্শন নোটিশ কিংবা সাধারণ সভা ও বৈঠক ছাড়াই এই নীতিমালা কোথায় পেল রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নে?
কাউকে বহিষ্কারের আগে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ নেই থাকবেই বা কি করে যেখানে ভিন্নমত প্রকাশ কারীদের কোন প্রকাশ কারণ দর্শনের নোটিশের সুযোগ নেই। কার্যনির্বাহী কমিটির চায়ের বৈঠকে সরাসরি রায় যেন আদালত, কিন্তু বেআইনি ভাবেই যাকে তাকে করছেন সদস্য ও বহিষ্কারের এ যেন আরেক কীর্তন।
আরও বিস্ময়কর অভিযোগ সংগঠনের নিবন্ধন ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্বিত করা হচ্ছে, তৈরি করা হচ্ছেনা এখনো পর্যন্ত গঠনতন্ত্র! ফলে স্বীকৃতিহীন অবস্থায় সংগঠন চললেও, নেতারা সেই অবস্থাকেই ধরে রাখতে চাইছেন কারণ এই সংগঠন দিয়ে কিছু অসাধু নেতা বনেছেন আর চালাচ্ছেন সাংবাদিক সংগঠন এর নামে অনৈতিক চাঁদাবাজির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ইউনিয়ন এর নাম ব্যবহার করে নেতা পরিচয়ে। প্রতিষ্ঠাতা উপদেষ্টাদের ভূমিকা উপেক্ষিত। তাদের সম্মতি ছাড়াই সিদ্ধান্ত, পরে দায় চাপানো তাদের ঘাড়ে।
সাধারণ সদস্যরা আলোচনার জন্য একত্রিত হতে চাইলে, থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আবার অনৈতিকভাবে রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের অফিস দখলের চেষ্টা হচ্ছে বলেও থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যায়, কি আশ্চর্য এই ইউনিয়ন এর আকামলার ডেকিদের। বড় প্রশ্ন ইউনিয়ন এর সাইনবোর্ড ব্যবহার করেই বিভিন্ন দপ্তর থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদাবাজি হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন এই সংগঠনটির নিবন্ধ করতে চাইলেও সাধারণ সম্পাদক জয় নিবন্ধ করতে একমত নন কেন তার প্রশ্নের উত্তরে সদস্যদেরকে বলেন কি দরকার নিবন্ধন করার এভাবেই চলছে তো তার কথা স্পষ্ট যে সে মূল ধরার সাংবাদিক নন বরণ মূলধারার সাংবাদিকদের কে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন এ যেন জয়-জয়কারের গল্প। সাধারণ সম্পাদক এস এম জয়ের বিরুদ্ধে নারীদের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কু-প্রস্তাবে রাজি না হলে পরেরদিন ঐ নারীকে রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন থেকে বহিষ্কারের এসএমএস যায় ফোনে এমন অভিযোগ অনেক নারী সদস্যদের! এ-বিষয় ইউনিয়নের নেতাদেরকে নাকি জানানো হলেও কেন পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না ইউনিয়ন এর নেতারা?
সাধারণ সদস্যরা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবরে এক চিঠিতে স্পষ্ট লিখিত দিয়েছিলেন যেন “সাত দিনের মধ্যে নিবন্ধনের উদ্যোগ নেয়া হয় ও সাধারণ সভা ডেকে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু সাধারণ সদস্যদেরকে মূর্খ আর অপ-সাংবাদিকতার সাথে জড়িয়ে রাখতে চাচ্ছেন রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন।
পুরো রংপুর জুড়ে সমালোচিত একটি বিষয় এখন রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জায়গায় না রেখে সাংবাদিকতার নীতিমালা ও নিয়ম বিধি না মেনে চালানোর চেষ্টা করা একেবারের রাষ্ট্রীয় ও মূলধারার সাংবাদিকতার পরিপন্থি।